• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন আ.লীগের ৯ নেতাকর্মী 
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ মোট ৯ জন নেতাকর্মী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে হোমসের মাঠে পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান তাদেরকে আনুষ্ঠানিক বরণ করেন। যোগদানকৃতরা হলেন-কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকলীগের সাবেক একাংশ কমিটির সেক্রেটারি মো. আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মো. সোহাগ। এ ছাড়াও বাকিরা সবাই কুয়াকাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এর আগে বিকেল তিনটায় মহিপুর থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে মহিপুর থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা সহ-সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মাদ সেলিম মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আর আই এম অহিদুজ্জামান, সদস্য আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আব্বাসী, ধূলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম প্রমুখ। গণসমাবেশে বক্তারা সাম্য, ন্যায় বিচার ও আদর্শভীত্তিক রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। এই স্বাধীনতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, খুনের বিরুদ্ধে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ থেকে অরাজকতা দূর করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানানো হয়। শ্রমিকলীগ থেকে যোগ দেওয়া মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমি মুসলমান হিসেবে ইসলামী দলকে ভালোবাসি। তাই অনেকদিন থেকেই যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন সুযোগ পেয়ে যোগ দিয়েছি। পরবর্তীতে আর দল পরিবর্তনের চিন্তা নেই। পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান বলেন, তারা দলে আসতে চেয়েছেন সেকারণে তাদেরকে নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা তাদের পূর্ববর্তী কাজের খোঁজখবর নেবো, আওয়ামী লীগের ঘৃর্ণিত কর্মকাণ্ড এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যদি কোনো কাজের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।’
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দল নিয়ে যা জানাল চীন
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিভাগের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, চীন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব দেয় এবং সবসময় বাংলাদেশিদের জন্য ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে আসছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সেক্টরের সঙ্গে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি সাংবাদিকের করা প্রশ্নে এ জবাব দেন তিনি। মাও নিং বলেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমর্থন ও সহায়তা অব্যাহত রাখব এবং বাংলাদেশে বসবাসরত রাখাইন রাজ্যের শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রচারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করব।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে ড. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রশংসা করেন। 
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯

কারও প্রতি কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না: জামায়াত আমির
গত ১৬ বছরে জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ সরকার যে নির্যাতন করেছে তা দল হিসেবে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।  মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয় সরণির একটি রেস্টুরেন্টে মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।  কারও প্রতি কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না আশ্বস্ত করে জামায়াতের আমির বলেন, যদি ভিকটিম হিসেবে কেউ যদি বিচার প্রত্যাশী হয় তবে তাকে স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সহায়তা করবেন তারা।  ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর আমরা প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। কেন প্রকাশ্যে আসতে পারিনি এজন্য আমরা কাউকে দায়ী করবো না। অন্যদের মন্দ চর্চার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণ করুণা নয়, তাদের ন্যায্য অধিকার চায়। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে বিশাল মনের মানুষ দরকার। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, অতীতে সাংবাদিকদের মুখে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদের কলমকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনভাবে লিখতে পারেনি। কিন্তু এখন সবাই জাগ্রত হয়েছে। আগামী দিনে আপনাদের সহযোগিতায় আমরা কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী উত্তরে ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম ও প্রচার মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার।  
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১৬

আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আ.লীগ হতে পারে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ডাকাত না, জালেম না, অত্যাচারী না, তাদেরকে অত্যাচার করা যাবে না। আমি ওইসব ভাইদের বলব- যারা আওয়ামী লীগ করেছিলেন, যারা আদর্শবান, মনে রাখবেন, আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আওয়ামী লীগ হতে পারে না। সময় আছে তওবা করুন। আগের দেশ আর আমরা চাই না। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি দূর করতে না পারলে এ দেশের পরিবর্তন হবে না। এ দেশে ওসি পরিবর্তন হয়, এসপি পরিবর্তন হয়, কিন্তু ঘুষ ঠিকই থাকে। আমরা ঘুষ ও চোর মুক্ত বাংলাদেশ চাই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বারের বেশি যাতে না হয় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। কিন্তু আমি মনে করি, শুধু ব্যক্তি পরির্বতন নয়, সুন্দর দেশ গড়তে নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই সমান অধিকার ভোগ করতে পারি। দলটির উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী নূরুল আমিন খাঁনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমদাদুল হাসেমী, জেলার ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ যুবায়ের হোসাইন, জেলার ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলার ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬

অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসলামী আন্দোলনের ১৩ প্রস্তাবনা
নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার দাবিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পির)। এর আগে, ইসলামী আন্দোলনের আমিরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেন। একটি গণবিপ্লবের মধ্যদিয়ে জনগণের অভিপ্রায়ে গঠিত হয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকার। তাই এ সরকারের পক্ষে রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে। অতএব দেশকে এবং দেশের রাজনীতিকে সঠিক ধারায় নিয়ে আসার ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার যদি প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেয় তাহলে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তদান ব্যর্থ হবে। যেসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম ১. বিদ্যমান সংবিধান নিয়ে নানাবিধ বিতর্ক আছে। বিগত দিনের ক্ষমতাসীনরা দলীয় স্বার্থে সংবিধানে নানারকম পরিবর্তন করেছে। এ জন্য বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করে একটি সাংবিধানিক কমিশন গঠন করে নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি করা এবং গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদন করা। ২. গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে গত ১৬ বছরে যেসব হত্যা, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে সেসবের বিচার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ৩. তদন্তসাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং পাচার করা টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ নিতে হবে। যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব নিতে হবে। দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। ৪. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ৫. ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি তিনটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। এ তিনটি অবৈধ ও প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনাকারী নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা তাদের অবৈধ কাজের কুশীলব ছিলেন তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ অবৈধ নির্বাচনের সাহস না করে। ৬. বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে ইসিকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে। ৭. নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম এ পাঁচটি ক্ষেত্রে আমূল এবং ব্যাপক সংস্কারের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরাও মনে করি এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। ইসলামী আন্দোলন প্রত্যাশা করে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সংস্কার কার্যক্রমের ধরণ ও প্রক্রিয়া কি হবে এবং কতদিনের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করবে, তা অতিদ্রুত প্রকাশ করবে এবং জাতীয় নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। ৮. আওয়ামী দুঃশাসনে বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এ ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ৯. ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢালাওভাবে রাতারাতি যেসব নিয়োগ, বদলি ও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এসব বিশ্লেষণের জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। ১০. ঢালাওভাবে হয়রানিমূলক এবং মিথ্যা মামলা করা যাবে না। শুধু রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলা হলে তা প্রত্যাহার করতে হবে। ১১. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। ১২. নতুন করে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও হয়রানি কঠোরভাবে দমন করতে হবে। ১৩. চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের দমন করতে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে দ্রুত যৌথ অভিযান শুরু করতে হবে।
৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৩৪

ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক এমডি
ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুল মান্নান চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। বলেছেন, জোর করে পদত্যাগপত্রে তার সই নেওয়া হয়। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের আয়োজনে ব্যাংকিং খাতে দখলদারত্ব উচ্ছেদ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভোরে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কয়েকজন কর্মকর্তা আমাকে কচুক্ষেতের ডিজিএফআই কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায়। একইভাবে নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে। এরপর আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে ব্যাংকটি দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এই এমডি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের একটি অব্যবহৃত প্যাডে লেখা পদত্যাগপত্রে জোর করে সই নেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্যাড ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক কখনই ব্যবহার করেনি। সে ধরনের একটি প্যাডে আমার পদত্যাগপত্র নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই দিন অনেক রাত পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের স্যাররা অফিস করেছেন। তারা ওই দিনই ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে কাজ করেছেন। এগুলো কীভাবে হতে পারে একটি দেশের ব্যাংক খাতে। যে ব্যাংক খাত একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ। আবদুল মান্নান বলেন, পরের কয়েক বছর তাদের টেলিফোনে (এস আলম গ্রুপ) বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে এমনটা ঘটানোর কেউ সাহস না পায়। তিনি বলেন, বিদেশে থাকার সময় দেশ থেকে সাংবাদিকদের কেউ কেউ যোগাযোগ করলেও আমি কথা বলিনি। কারণ, আমি নিরাপদ বোধ করিনি। আতঙ্কের মধ্যে থেকেছি। আবার বাংলাদেশে এসে নিশ্বাস নিতে পারব বলে মনে করিনি। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এই এমডি আরও বলেন, আমি এখন মনে করি, কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে সেই ভয় কাটতে বোধ হয় সময় লাগবে। মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে বোধ হয় আমার আরও সময় লাগবে।
৩০ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১৬

হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখতে সিএমএইচে ইসলামী আন্দোলন
আনসার বাহিনীর কতিপয় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর খোঁজ নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় সিএমএইচ হাসপাতালে দেখতে যান দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সুস্থতার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন। ইউনুছ আহমাদ বলেন, পরাজিত শক্তিগুলো এখনও বহুবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই দেশ ও মানবতাবিরোধী চক্রান্ত কঠোর হস্তে দমনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িত দুর্বৃত্ত আনসারদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এ সময় দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী ছাত্রনেতা ইমরান হোসাইন নূর ক্যান্টনমেন্ট থানা সভাপতি আমিনুল হক তালুকদারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২৭ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৯

ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।  বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। নতুন পর্ষদের পরিচালকরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ ওহাব, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আব্দুল জলিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এম মাসুদ রহমান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আব্দুস সালাম। ১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। ২০১৬ সালে সোনালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। পরে ২০১৯ সালে রুপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে ছিলেন তিনি। তার আগে কর্মসংস্থান ব্যাংকের এমডি এবং অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বি.কম (অনার্স) এবং ১৯৮৮ সালে আইবিএ থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসিতে বাণিজ্য বিভাগে মেধা তালিকায় তৃতীয় হন তিনি।
২২ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৩৭

ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভাঙার সিদ্ধান্ত 
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দু-এক দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে পারে। পর্ষদ ভেঙে সরকারের সহযোগিতায় ছোট আকারে বোর্ড গঠন করে দেওয়া হবে। আপাতত ব্যাংকটিতে সব স্বতন্ত্র পরিচালক দেওয়া হবে।  বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চারজন পরিচালকের সঙ্গে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের বৈঠক হয়। এরপর তিনি নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।   গভর্নর বলেন, এখন ইসলামী ব্যাংকে এস আল‌ম গ্রুপ বা তার স্বার্থ সং‌শ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কা‌রও না‌মে এককভা‌বে দুই শতাংশ শেয়ারের মালিক নেই। তাই পরবর্তী‌তে যখন কো‌নো শেয়ার‌হোল্ডার দুই শতাংশ শেয়ারের মা‌লিক হ‌বেন তখন তা‌দের ম‌ধ্য থে‌কে প‌রিচালক নি‌য়োগ দেওয়া হ‌বে।  উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির শেয়ারের ৮২ শতাংশের মালিকানা রয়েছে এস আলমের হাতে। এরই মধ্যে এস আলমের শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি।
২১ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৩৭

ইসলামী ব্যাংকে থাকা এস আলমের ৮ সহযোগী বরখাস্ত
এস আলম গ্রুপের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ ডিএমডিসহ আট শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নানা অনিয়ম ও বেনামে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে এই আট কর্মকর্তা জড়িত বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ (এএমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম ও ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া প্রধান অর্থপাচার প্রতিরোধ কর্মকর্তা তাহের আহমেদ চৌধুরী ও আইবিটিআরএ প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলাম। আর আগে রোববার (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীতে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাংকটির ৪ জন কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন- ইসলামী ব্যাংকের গোডাউন গার্ড (ডিজি) শফিউল্লাহ সরদার, অফিসার মামুন, আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহ। ওই দিন কয়েক শ’ বহিরাগত জোর করে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের প্রবেশে বাধা দিলে কর্মকর্তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সকালে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে কয়েক শ’ বহিরাগত অবস্থান নেন। তারা জামানতবিহীন, অনিয়ম করে লোন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। হঠাৎ এস আলম গ্রুপের হয়ে কাজ করা কয়েকজন কর্মকর্তাসহ প্রায় শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদেরকে বাধা দিলে অস্ত্রধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করেন। তাদের গুলিতে চার কর্মকর্তা আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা পাল্টা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে কায়সার আলী পদত্যাগ করেন। এদিকে, ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরিচালক ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তহবিল লুটপাটের বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরাবর এ চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। সর্বস্তরের কর্মীদের পক্ষ থেকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের এসইভিপি এএসএম রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। ব্যাংকটির বোর্ড অব ডিরেক্টরস ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের কিছু চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে প্রাক্তন পরিচালকদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার আশু পদক্ষেপ কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বের করে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর গত ৭ ও ৮ আগস্ট ব্যাংকারদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের পর হওয়া পদায়ন পাওয়া এক্সিকিউটিভসহ (নির্বাহী কর্মকর্তারা) অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া সবার নিয়োগ বাতিলের দাবি তোলেন তারা। এ অবস্থায় গত বুধবার এস আলমের আমলে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) কায়সার আলী ব্যাংকে এলে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। কর্মকর্তারা ইসলামী ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লুটেরাদের বের করে দেওয়ার দাবি জানান। বিশেষ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মাওলা, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাউসার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিনসহ এস আলমের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ব্যাংক থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন তারা।
১৯ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়